প্রসাবের রাস্তায় পাথর লক্ষণ দেখা দিলে কি করবেন?

প্রসাবের রাস্তায় পাথর লক্ষণ দেখা দিলে কি করবেন?

  • 11 Jun 2024
  • Best Doctor List

প্রসাবের রাস্তায় পাথর হয় কেন?

প্রস্রাবের রাস্তায় পাথর হওয়ার পেছনে একাধিক কারণ আছে।

প্রধান কারণগুলো হলো:

পানিশূন্যতা: পর্যাপ্ত পানি না পান করলে প্রস্রাব ঘন হয়ে যায়। ফলে কিডনিতে মিনারেল জমা হতে শুরু করে এবং পাথর তৈরি হয়।

অতিরিক্ত খাওয়া: অতিরিক্ত প্রোটিন, অক্সালেট, সোডিয়াম এবং ফসফরাস সমৃদ্ধ খাবার খেলেও পাথর হতে পারে।

মূত্রনালীর সংক্রমণ: বারবার মূত্রনালীর সংক্রমণ হলে প্রস্রাবের সাথে খনিজ জমা হতে পারে এবং পাথর তৈরি হতে পারে।

জিনগত কারণ: কিছু মানুষ জন্মগতভাবেই পাথর হওয়ার ঝুঁকিতে থাকে।

অন্যান্য কারণ: কিছু ওষুধ, থাইরয়েড সমস্যা, মেটাবলিক ডিজিজ, এবং কিডনির অস্ত্রোপচারও পাথর হওয়ার কারণ হতে পারে।

পাথরের ধরণ অনুযায়ী আরও কিছু কারণ :

ক্যালসিয়াম অক্সালেট পাথর: এটি সবচেয়ে সাধারণ ধরণের পাথর। অক্সালেট সমৃদ্ধ খাবার (যেমন, শাকসবজি, বাদাম, চকোলেট) এবং ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার (যেমন, দুগ্ধজাত খাবার) বেশি খাওয়ার ফলে এটি হতে পারে।

ইউরিক অ্যাসিড পাথর: অতিরিক্ত প্রোটিন খাওয়া, কিডনির ক্ষমতা কমে যাওয়া এবং কিছু ওষুধের ব্যবহারের ফলে এটি হতে পারে।

স্ট্রুভাইট পাথর: মূত্রনালীর সংক্রমণের ফলে এটি হতে পারে।

সাইস্টিন পাথর: এটি একটি বিরল ধরণের পাথর যা জিনগত কারণে হতে পারে।

 

উপসর্গ:

প্রস্রাবের সময় তীব্র ব্যথা

কোমর বা পেটে ব্যথা

প্রস্রাবের সাথে রক্ত

বারবার প্রস্রাব করার ইচ্ছা

মলদ্বারে ব্যথা

বমি বমি ভাব

চিকিৎসা:

পাথরের আকার এবং অবস্থান অনুযায়ী চিকিৎসা নির্ধারণ করা হয়। ছোট পাথর প্রস্রাবের সাথে বেরিয়ে যেতে পারে। বড় পাথরের জন্য ঔষধ, লেজার থেরাপি, বা অস্ত্রোপচারের প্রয়োজন হতে পারে।

 

প্রতিরোধ:

পর্যাপ্ত পানি পান করুন (প্রতিদিন 2-3 লিটার)

অক্সালেট, সোডিয়াম এবং ফসফরাস সমৃদ্ধ খাবার কম খান

প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার পরিমিতভাবে খান

নিয়মিত ব্যায়াম করুন

ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখুন

মূত্রনালীর সংক্রমণ প্রতিরোধ করুন

নিয়মিত চেকআপ করান

মূত্রনালীর পাথর অপারেশন খরচ কতো?

বাংলাদেশে মূত্রনালীর পাথর অপারেশনের খরচ বিভিন্ন বিষয়ের উপর নির্ভর করে, যার মধ্যে রয়েছে:

অস্ত্রোপচারের ধরণ:

ইউরেটারোস্কোপি: এটি একটি নন-ইনভেসিভ পদ্ধতি যেখানে একটি পাতলা নল (ইউরেটারোস্কোপ) মূত্রনালী এবং কিডনিতে প্রবেশ করানো হয় পাথর ভেঙে ফেলার জন্য। এই পদ্ধতির খরচ সাধারণত ৳ 55,000 থেকে ৳ 80,000 টাকার মধ্যে হয়।

শক ওয়েভ লিথোট্রিপসি: এই পদ্ধতিতে, শব্দের তরঙ্গ ব্যবহার করে পাথর ভেঙে ফেলা হয়। এটি একটি আউটপেশেন্ট পদ্ধতি এবং এর খরচ সাধারণত ৳ 40,000 থেকে ৳ 60,000 টাকার মধ্যে হয়।

পার্সকুটেনিয়াস নেফ্রোলিথোট্রিপসি (পিসিএনএল): এই পদ্ধতিতে, ত্বকে একটি ছোট্ট চিরুন তৈরি করে কিডনিতে পৌঁছানো হয় এবং একটি বিশেষ যন্ত্র ব্যবহার করে পাথর ভেঙে ফেলা হয়। এর খরচ সাধারণত ৳ 80,000 থেকে ৳ 1,20,000 টাকার মধ্যে হয়।

ওপেন সার্জারি: জটিল ক্ষেত্রে, ওপেন সার্জারির প্রয়োজন হতে পারে। এর খরচ সবচেয়ে বেশি, সাধারণত ৳ 1,20,000 থেকে ৳ 2,00,000 টাকার মধ্যে।

হাসপাতালের ধরণ: সরকারি হাসপাতালে বেসরকারি হাসপাতালের তুলনায় খরচ কম হয়।

রোগীর অবস্থা: যদি রোগীর অন্যান্য কোন স্বাস্থ্য সমস্যা থাকে, তাহলে অস্ত্রোপচারের খরচ বেশি হতে পারে।

অনেস্টেসিয়ার ধরণ: স্থানীয় অবেদন সাধারণ অবেদনের চেয়ে কম খরচ হয়।

 

অতিরিক্ত খরচ:

ডাক্তারের ফি

ওষুধ

পরীক্ষা-নিরীক্ষা

হাসপাতালে থাকার খরচ

মোট খরচ:

উপরোক্ত বিষয়গুলো বিবেচনা করে, বাংলাদেশে মূত্রনালীর পাথর অপারেশনের মোট খরচ ৳ 40,000 থেকে ৳ 2,00,000 টাকার মধ্যে হতে পারে।

কিছু টিপস খরচ কমানোর জন্য:

সরকারি হাসপাতালে যান।

জেনেরিক ওষুধ ব্যবহার করুন।

প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষাগুলিই করুন।

দ্রুত হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেতে চেষ্টা করুন।

 

মনে রাখবেন:

এই তথ্য শুধুমাত্র তথ্যগত উদ্দেশ্যে। অস্ত্রোপচারের খরচ সম্পর্কে নির্দিষ্ট তথ্যের জন্য আপনার ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করুন।

বাংলাদেশের সেরা মূত্রনালীর পাথর  অপারেশন হাসপাতাল

আমাদের বাংলাদেশের অনেক সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে মূত্রনালীর পাথর অপারেশন করা হয়। তবে আপনার সুবিধার জন্য আমি একটি তালিকা প্রদান করবো। যে তালিকায় আপনি বিভিন্ন ধরনের টনসিল অপারেশন করা হাসপাতালের নাম দেখতে পারবেন। যেমন, 

  1. আপেক্স হাসপাতাল (ঢাকা)
  2.  
  3. ইউনাইটেড হাসপাতাল (ঢাকা)
  4. সমরিক হাসপাতাল (ঢাকা)
  5. ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল (ঢাকা)
  6. স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল (ঢাকা)
  7. মহাখালী ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল (ঢাকা)
  8. চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল (চট্টগ্রাম)
  9. পপুলার মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল (চট্টগ্রাম)
  10. ইমাম হাসপাতাল (চট্টগ্রাম)
  11. সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল (সিলেট)
  12. পার্বতী হাসপাতাল (সিলেট)
  13. মহানগর হাসপাতাল  (সিলেট)
  14. রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল (রাজশাহী)
  15. পিপিসি মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল (রাজশাহী)

 

তবে এই তালিকার বাইরে এমন শতশত হাসপাতাল আছে যেখানে আপনি আপনার টনসিল অপারেশন করাতে পারবেন। আর আমরা চেস্টা করবো টনসিল অপারেশনের দিক থেকে সবচেয়ে ভালো হাসপাতাল গুলোর নাম এই তালিকায় যুক্ত করার জন্য। 

সিরিয়াল ও ইনফরমেশন এর  জন্য কল করুন - 01902991500 (সকাল ১০:০০ টা হতে রাত  ০১০:০০ টা, শুক্রবার ব্যাতিত)।

 

আপনার জন্য আমাদের কিছুকথা

মানবদেহে কোনো রোগ দেখা দেওয়ামাত্রই অভিজ্ঞ ডাক্তারের কাছে যাওয়া উচিত। কিন্তুু ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া কখনই নিজে নিজে ঔষুধ সেবন করবেন না। তাই আপনার তখনি টনসিল অপারেশন করা উচিত, যখন ডাক্তার আপনাকে টনসিল অপারেশন করার পরামর্শ দিবেন। 

আর আমরা প্রতিনিয়ত চিকিৎসা বিষয়ক বিভিন্ন তথ্য শেয়ার করি। যদি আপনি আমাদের শেয়ার করা তথ্য গুলো বিনামূল্যে জানতে চান তাহলে আমাদের সাথে থাকবেন। ধন্যবাদ, এতক্ষন আমাদের সাথে থাকার জন্য, ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন।